অভিযানের সময় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ১

11

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা পণ্য চোরাই পথে খোলাবাজারে  বিক্রি প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনার সময় হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেড় কোটি টাকার পণ্যসহ ৩টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এর কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের উপ কমিশনার রেজভী আহম্মেদ এবং সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফয়সালের নেতৃত্বে দুটি প্রিভেন্টিভ দল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায়। অভিযানে সিআইডি পুলিশ সহায়তা করে। অভিযানকারী দল রাত একটায় ঢাকেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন নামফলকবিহীন একটি গুদামের সন্ধান পায়। সেখানে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা প্রচুর পরিমাণ পণ্য চোরাইপথে বিক্রির জন্য মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর গুদামটি ইনভেন্টরির লক্ষ্যে কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়। এরপর অভিযানকারী দল ভোর ৪টায় রাজধানীর নয়াবাজার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নয়াবাজার মোড় থেকে ডুপ্লেক্স বোর্ড ভর্তি তিনটি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। এসব পণ্য নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্হিত ‘ভি টেক প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামক বন্ডেড প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চোরাইপথে খোলাবাজারে বিক্রয়ের লক্ষ্যে পুরাতন ঢাকায় নিয়ে খালাস করা হচ্ছিলো। আটক পণ্যের মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা, এর বিপরীতে আদায়যোগ্য শুল্ক করাদির পরিমাণ প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

অভিযান শেষে ফিরে আসার সময় অবৈধ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে ইট-পাটকেল ও লাঠি-সোটা নিয়ে কাস্টমস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। তাদের আঘাতে তিন জন কাস্টমস কর্মকর্তা আহত হন। এছাড়াও সেসময় কাস্টমসের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে।

আক্রমণে অংশ নেওয়া মাহফুজুর রহমান (৪৮) নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণনাশের চেষ্টা এবং সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ২৭/১৪১।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া রাজস্ব সংরক্ষণ এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশে অভিযান নিয়মিত চলবে।’