রোকেয়া সরণির জলাবদ্ধতা নিরসনে ত্রিপক্ষীয় কমিটি

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম

রাজধানীর রোকেয়া সরণির জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), মেট্রোরেল এবং ঢাকা ওয়াসার সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী মে মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ডিএনসিসি’র মেয়র।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্লাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ কমিটি গঠন করা হয়।

বৈঠকে মেয়র বলেন, ‘বৃষ্টি হলে রোকেয়া সরণিতে জলাবদ্ধতা ও যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, তা থেকে অবশ্যই জনগণকে মুক্তি দিতে হবে। নগরীর সেবক হিসেবে আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। যত দ্রুত সম্ভব রোকেয়া সরণির জলাবদ্ধতা দূর করতে মেট্রোরেল প্রকল্পকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রস্তুত রয়েছে।’

মেয়র জানান, মেট্রোরেল প্রকল্প চলাকালীন এ এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে ডিএনসিসি সড়কটি মেট্রোরেল প্রকল্পকে হস্তান্তর করেছে।

ত্রিপক্ষীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ডিএনসিসির সদস্যরা হলেন— তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) মো. শরিফ উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) খন্দকার মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল ২) এনামুল কবির এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল ৪) মোল্লা নূরুজ্জামান। এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত ঢাকা ওয়াসার সদস্যরা হলেন— তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ড্রেনেজ) মিজানুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান এবং সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেনেজ) জাকির হোসেন। আর মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজার সারওয়ার উদ্দিন খান এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান এ কমিটিতে রয়েছেন। মেয়র আতিকুল ইসলাম আসন্ন বর্ষায় সুষ্ঠুভাবে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কমিটিকে আগামী মে মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, ওয়াসার পরিচালক একেএম সহিদ উদ্দিন, মেট্রোরেল প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. আবদুল বাকী মিয়া।