সুপ্রভাত বাসের মালিকসহ চারজনের তদন্ত প্রতিবেদন ২১ মে

ননী গোপালবাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার চৌধুরীকে প্রগতি সরণীতে বাসচাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধ কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

মামলায় চারজন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন- চালক সিরাজুল ইসলাম, চালকের সহকারী ইব্রাহিম হোসেন, কন্ডাকটর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকার। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯ মার্চ ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি ছেড়ে আসে। তখন চালক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। বাসটি গুলশানের শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকা অতিক্রম করার সময় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তখন পরিবহনের যাত্রীরা চালক সিরাজুলকে ট্রাফিক পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনাস্থলের কিছুদূরে বাসটি রাখা হয়। এ সময় কন্ডাক্টর ইয়াসিন আরাফাত বাসের মালিকের কাছে ফোন দিয়ে জানান- বাসটি এখানে থাকলে জনগণ পোড়াতে বা ভাঙচুর করতে পারে। তখন মালিক আরাফাতকে দ্রুত বাসটি নিয়ে সরে পড়তে বলেন। এরপর চালকের আসনে বসে কন্ডাক্টর বাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় প্রগতি সরণী এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার বাসটির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। ঘটনার প্রতিবাদে ঘাতক বাস পরিবহন প্রতিষ্ঠান সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ আট দফা দাবিতে বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।