শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী ব্যানার-ফেস্টুন টানানোর নির্দেশ

মাউশিমাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী  ব্যানার ও ফেস্টুন টানোর নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।  হাইকোর্টের রায়ের আলোকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়নে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক প্রীতিশ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রাত্যাহিক সমাবেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নীতিবাক্যের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করবেন। এ সংক্রন্ত ব্যানার ও ফেস্টুন প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের যতদ্রুত সম্ভব বিষয়ভিত্তিক, কম্পিউটার সৃজনশীল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশ্ন প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত কার্যযক্রম ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়মিত সার্বিক দায়িত্ব তদারকি করবে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাই কোর্টের নির্দেশনার আলোকে পাঁচ সদস্যেরে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির ওই নির্দেশনার পর রবিবার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনসহ ব্যানার ও ফেস্টুন টানানোর নির্দেশ দিলো।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৫ মে যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞাসহ যৌন হয়রানি রোধে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাই কোর্ট। ওই রায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন হয়রানির প্রতিরোধে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। রায়ে এই অভিযোগ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করাও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিনেও এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কমিটি গঠন করলেও তার কোনও কার্যযক্রম নেই। আর দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির পর পুড়িয়ে হত্যার পর মাউশি সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়।