উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি নাবিদ কামাল শৈবাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুথের ভেতরে একটি ওষুধের বক্সের ওপর ঘড়ির মতো টাইমার লাগানো ছিল। টাইমার দেখে বোমা সদৃশ্য বস্তু মনে হলেও বক্সটি খুলে সেখানে কিছু ওষুধ পাওয়া গেছে।’ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কেউ বা কোনও মহল এমন কাজ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১ মে) সকালে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ভবনের (রাজউক কলেজের পেছনে) নিচে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সিকিউরিটি গার্ড মো. মিজান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমি এই বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। অনেকেই টাকা তুলতে বুথে আসেন। রাত সাড়ে ১০ টার সময় আমি বুথের ভেতরে গিয়ে দেখি কোণায় একটি বাক্স। আমি মনে করি কেউ ভুলে রেখে গেছে। রাত ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি কেউ নিতে আসে কিনা দেখতে। পরে আমি দেখি বাক্সের ওপরে ঘড়ির মতো একটি মেশিন লাগানো। কাটা কিছুক্ষণ পর পর নিচে নেমে আসে। আমি আতঙ্কিত হয় পুলিশকে জানাই। তারা এসে বিষয়টি দেখে পরে সেটি উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে গেলে বাক্সটি খুলে তার ভেতরে ইনজেকশন ওষুধ, সুতা ও ব্যান্ডেজ পায়।’
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এমন কাজ করেছে। সেটি আসলে ফেক ছিল। কোনও বোমা ছিল না। আমরা তদন্ত করছি। কে এই বাক্সটি এখানে রেখে গিয়েছিল তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।