ওয়াসার এমডির দুর্নীতি তদন্তে মন্ত্রণালয়ের কমিটি





333ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ সংস্থাটির আরও দুই জন প্রকৌশলীর দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি)। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে তিনজন যুগ্ম সচিব ও একজন উপসচিবকে সদস্য করা হয়েছে।
অভিযুক্ত অপর দুই প্রকৌশলী হলেন ওয়াসা পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম ও পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী একেএম সহিদ উদ্দিন।
তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন মন্ত্রণালয়ের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্মসচিব, নগর উন্নয়ন-২-এর দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব এবং পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা একজন উপসচিব। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির প্রধান মো. জহিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে দেওয়ার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আশা করি আমাদের কাজ শেষ করতে পারবো। এর বেশি আমি বলতে পারবো না।’
গঠিত কমিটির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির নির্বাহী সদস্য শেখ সোহেল রানা ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন অভিযোগ দাখিল করেন। এছাড়া সংস্থার পরিচালক (উন্নয়ন) মো. আবুল কাশেম ও পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে জনৈক কাকির হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করেন। এ দুটি অভিযোগের বিষয়ে দতন্ত করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের পাইপ ক্রয় ও গুলশান-বনানী লেক উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে প্রভাবিত করে আইন ভেঙে বারবার নিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্ত করতেই এই কমিটি গঠন করা হয়।