বাগেরহাটে দুই আ. লীগ নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

সুপ্রিম কোর্ট

আদালতের আদেশের পরেও একটি হত্যা মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার সংশ্লিষ্ট  তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মণ্ডলকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মে আদালতে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাগেরহাটের এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই হত্যা মামলার প্রধান আসামির জামিনের শুনানিকালে সোমবার (৬ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির মঞ্জু। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ‘এর আগে হাইকোর্ট এ  মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে  সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তা দাখিল না করায় তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত,গত বছরের ১ অক্টোবর মোড়লগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) তার বাড়ি থেকে ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এই জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এমনকী আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার পর পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তন থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদেরকে উদ্ধার করে।

এরপর জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যা মামলাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃতসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুকের তিনটি কার্তুজ, রিভলবারের দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।

এরপর জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন জানায় মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকির। কিন্তু নিম্ন আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করায় তিনি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান।