তিন মাসের মধ্যে দেশের সব স্কুল-মাদ্রাসা ভবনের ঝুঁকিরোধের নির্দেশ

হাইকোর্টসারাদেশের সব প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও মাদ্রাসা ভবনের মধ্যে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো তিন মাসের মধ্যে সংস্কার করে তা ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় সচিব এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিএইডি) প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রকৌশলীকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ২১ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল বরগুনার তালতলীতে সরকারি স্কুলের ভবনের ছাদের বিম ধসে পড়ে এক ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়ার আবদেন জানানো হয়। এছাড়াও সারাদেশের সব প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও মাদ্রাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি দায়ের করেন। যার শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল বরগুনার তালতলীতে সরকারি স্কুলের ভবনের ছাদের বিম ধসে পড়ে এক ছাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৯ জন। উপজেলার ৫নং ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার ৫নং ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০২ সালে আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ স্কুল ভবনটি নির্মাণ করেন। ওই সময় ভবনটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।