খুনি ও অর্থ-পাচারকারীদের ক্ষমা নাই : প্রধানমন্ত্রী

লন্ডনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবি: বাসস থেকে)

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লুকিয়ে থাকা খুনি ও অর্থ-পাচারকারীদের অবশ্যই শাস্তি হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) লন্ডনের তাজ হোটেলে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। খুনি ও অর্থপাচারকারীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যত টাকাই খরচ করুক, তাদের কোনও ক্ষমা নেই। জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।’

তিনি বলেন, ‘আদালত খুনি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আমরা এই রায় কার্যকরের পদক্ষেপ নেবো। তারা যত স্লোগানই দিক, যত তিরস্কারই করুক, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি’র অপপ্রচারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যাদের (সংগঠনের) জন্মের  কোনও বৈধতা নেই তারাই সবকিছুতে অবৈধ খুঁজে বেড়ায়।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা নিয়ে কারবার করাই বিএনপি’র ব্যবসা এবং তারা এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে এবং বিদেশে অর্থ পাচার করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে।’

‘তবে, আমি বিশ্বাস করি, সত্যের জয় হবেই,’ যোগ করেন তিনি।

বিগত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় এবং গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। যাতে করে বিজয় সমুন্নত থাকে এবং অতীতের মতো বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করতে না পারে।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নিজস্ব অর্থ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে এবং ইতোমধ্যে সাড়ে ছয় কিলোমিটার সেতুর প্রায় দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সেতু নির্মাণ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু আমরা সেই অভিযোগ মেনে নেইনি বরং আমরা এর প্রতিবাদ করেছি কারণ সেই সাহস আমাদের ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন তাদের অভিযোগ মেনে নেবো, যে কাজ আমরা করিনি। একটি সংস্থা আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিল এবং আমরা তা মেনে নেইনি, কেননা তা কখনও ঘটেনি। আমরা কোনও অভিযোগ ঘাড়ে করে ক্ষমতায় আসতে চাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি কোনও মিথ্যা অভিযোগের দায় নিতে পারি না এবং আমি জানি মানুষ সত্য ভালবাসে এবং মর্যাদা দেয়, আমি এও জানি সত্যের পথ সবসময়ই কঠিন এবং সে পথেই আমি এ পর্যন্ত এসেছি।’ বাসস