সিট দখল

জহুরুল হল ছাত্র সংসদের এজিএস ও ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা

1

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হলের একটি সিটের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি হয়েছেন হল সংসদ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা। শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, হল সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক  (এজিএস) সুরাপ মিয়া সোহাগের সঙ্গে হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী মাহফুজুর রহমান ইমনের কথা কাটাকাটি হয়। সুরাপ মিয়া নিজেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী। অপরদিকে মাহফুজুর রহমান ইমন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে রাজনীতি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘হলের ৩৪৭ নম্বর রুমে প্রায় তিন বছর ধরে থাকেন সুরাপ মিয়া সোহাগ। তার রুমের একটি সিটে থাকতেন শরীফ নামের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ইতোমধ্যে সিট ছেড়ে দিয়েছেন। যাওয়ার সময় সিটটি তার ফুফাতো ভাইকে দিয়ে যান। তিনি ছাত্রলীগের ইমনের গ্রুপের কর্মী। সেই হিসেবে এই সিটটি এখন ইমনের অধীনে রয়েছে। যেহেতু ৩৪৭ নম্বর রুমে হল সংসদের এজিএস নিজে থাকেন, তাই তিনি সিটটি তার অধীনে আনতে চান। এটা নিয়েই সুরাপ মিয়া সোহাগ ও ইমনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইমন গ্রুপের জাহিদ নামের এক কর্মী সুরাপ মিয়া সোহাগকে ধাক্কা দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে আবাসিক শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম এবং হল সংসদের ভিপি সাইফুল্লা আব্বাছি ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।’  

এই বিষয়ে আবাসিক শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি দ্রুত চলে আসি। তখন তারা নিজেদের মধ্যে ঘটনা মিটমাট করে ফেলে বলে আমাকে জানায়। তবে বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে অবহিত করেছি।’

হল সংসদের সহ- সাধারণ সম্পাদক সুরাপ মিয়া  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার রুমমেট শরীফ যাওয়ার সময় আমাকে সিট না দিয়ে ইমনকে দিয়েছে। কিন্তু হলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে রুমের সিট আমার পাওয়ার কথা।’ 

ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান ইমন বলেন, ‘শরীফ নামের ওই ছেলে যাওয়ার সময় তার ফুফাতো ভাইকে সিট দিয়ে যায়। সে আমার গ্রুপের। এখন হল এজিএস আমার সঙ্গে হল সংসদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। আমি তাকে বলেছি, যে সিট নিয়ে ঝামেলা তার পরিবর্তে আমাকে অন্য রুমে সিট দিতে। কিন্তু তাতেও তিনি রাজি হননি।’  

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখবো।’