জাহালমের মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই

জাহালম

ঋণ জালিয়াতির ২৬ মামলার ‘ভুল আসামি’ হয়ে কারাভোগ করা টাঙ্গাইলের জাহালমের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমুটো) হয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুলের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা দুদকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাহালম বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল জাহালমের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুলের কার্যক্রম আজ সোমবার (১৩ মে) পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মামলাটির শুনানির দিন নির্ধারণ রাখা হয়েছিল, যার ধারাবাহিকতায় দুদকের আবেদনটি শুনানি নিয়ে খারিজ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না...’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। এরপর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এরপর গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজির হলে হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চান আদালত।
এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালম কাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি জাহালম প্রশ্নে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির মামলার এফআইআর, চার্জশিট, সম্পূরক চার্জশিট এবং সব ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নথিপত্র দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।