দুই আওয়ামী নেতা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট



হাইকোর্টবাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের দুই আওয়ামী নেতা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মন্ডলকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত এ মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির মঞ্জু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মন্ডলকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) কোর্টে হাজির হয়ে মামলার তদন্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। এরপর আদালত তদন্তের বিলম্ব না করতে তাকে সতর্ক করেন এবং দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন।’
গত বছরের ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) বাড়ি থেকে ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাঙচুর করাসহ পিটিয়ে তার স্ত্রীর দুই পাও ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তার ‘সন্ত্রাসীবাহিনী’র বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া আলাদা দুটি মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর এ জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যা মামলাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃতসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুকের তিনটি কার্তুজ, রিভলবারের দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন জানায় মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকির। কিন্তু নিম্ন আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর না করায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন জানান।