রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

সুপ্রিম কোর্টরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (১৯ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।
রিটে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিবসহ ছয়জনকে বিবাদি করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন জানান, আগামীকাল সোমবার (২০ মে) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহ্রাওয়ার্দী’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আমরা দেখেছি, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কেনাকাটায় যে অস্বাভাবিক মূল্য ধরা হয়েছে, সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির প্রতি জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তাই আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছি।’
সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন বলেন, “প্রত্যেক কাজে জবাবদিহি থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছেন। তাছাড়া এই প্রকল্পে যে টাকা খরচ দেখানো হয়েছে তা দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা। তাই বিষয়টি জবাবদিহিতায় আসা উচিত।”
প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ১১০ ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র কেনা ও ভবনে ওঠানোর ঘটনা অনুসন্ধানে নামছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রতিবেদন দুদককে দেওয়া হবে। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।