পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে

সুপ্রিম কোর্ট



নবাবগঞ্জের ওসির দুর্নীতির বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের কারণে একটি জাতীয় দৈনিকের পাঁচ জন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দোহার থানায় মামলা হয়েছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি মামলাটি করেছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. পলাশ মিয়া। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সোমবার (২০ মে) রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতির আবেদন করলেও তা খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন আদালত।

শুনানির সময় সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবী বাসেত মজুমদার আদালতকে বলেন, যে মামলাটি করা হয়েছে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে পড়ে না। কারণ যে রিপোর্টটি হয়েছে, তা কোনও ডিভাইসে প্রকাশিত হয়নি। এখানে ওসির বিরুদ্ধে পত্রিকায় দুর্নীতির রিপোর্ট হয়েছে। সেটি তদন্ত না করে উল্টো পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যা আইন সংগত হয়নি, বরং মামলাটি বাতিলযোগ্য। যার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হয়েছে তিনি মামলা করেননি, অন্যকে ভাড়া করে মামলার বাদী করা হয়েছে। 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকার নবাবগঞ্জের ওসি মোস্তফা কামালের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনের জেরে পত্রিকাটির পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। আসামি করা হয়-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি আজহারুল হক, কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু জাফর, আশুলিয়া প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান মিঠু, ধামরাই প্রতিনিধি শামীম খান এবং গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি এস এম হুমায়ুন কবীরকে।

পরে মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আবু জাফর।

শুনানি শেষে ২৭ ফেব্রয়ারি আবু জাফরকে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি কোনও আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে।