কেক কেটে পালিত হলো দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের পঞ্চম বর্ষপূর্তি। বুধবার (২২ মে) বিকালে রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা ট্রিবিউনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ, বাংলা ট্রিবিউন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এবং সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক ড. কাজী আনিস আহমেদ, সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী, বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশক এবং সম্পাদকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় অনলাইন মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা জরুরি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অনলাইনগুলোর রেজিস্ট্রেশন চালু করবো। বাংলাদেশে এখন অনলাইনগুলোর রেজিস্ট্রেশন নেই। এর জন্য কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো করার পর রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমরা অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন খুব সহসাই শুরু করবো এবং এটা খুব দেখে-শুনে দেওয়া হবে। অনেকেই অনলাইন একটা খুলে সাংবাদিক কার্ড দিয়ে দেয় এবং অনলাইনটিকে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। এসব প্রতিরোধে অনলাইনের রেজিস্ট্রেশন থাকা প্রয়োজন।
বাংলা ট্রিবিউন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এবং সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পাঁচ বছর খুব কম সময় না, আবার অনেক বেশি সময়ও না। এ সময়ের মধ্যে বাংলা ট্রিবিউন সফলতা পেয়েছে। তবে এর পেছনে অনেক চ্যালেঞ্জিং সময় আমরা সবাই অতিক্রম করেছি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস ও আশা, বাংলা ট্রিবিউন শুধু ৫ বছর নয়, আগামী ১০০ বছরে সাংবাদিকতার প্রথম কাতারে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলা ট্রিবিউনের এই তারুণ্যনির্ভর টিমের ওপর আস্থা রাখার ফল আমরা পেয়েছি। ভুল যে আমাদের একেবারই হয় না, তা বলা ঠিক হবে না। কিছু ভুল হওয়ার পরেও তরুণদের এই টিম আমাদের গাম্ভীর্যের জায়গায় নিতে পেরেছে, আমরা কোনও নিউজ করলে সেটা সবাই সিরিয়াসলি নেন। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।
ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান বলেন, আমি বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেলসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। উচ্চমানের সাংবাদিকতায় বাংলা ট্রিবিউন পাঁচ বছর পার করেছে। আমরা এজন্য বাংলা ট্রিবিউনকে আমাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বলতে খুবই গর্ববোধ করি। বাংলা ট্রিবিউনের বস্তুনিষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য সাংবাদিকতার কারণে আমরাও লাভবান হয়েছি। কারণ, আমরা বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন আমাদের পত্রিকায় ছাপিয়ে থাকি।
এরপর কেক কেটে বাংলা ট্রিবিউনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ সময় বাংলা ট্রিবিউন ওমর ফারুক বর্ষসেরা রিপোর্টারদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট এবং বর্ষসেরা ১০ কর্মীকে পুরস্কৃত করা হয়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রকাশক ড. কাজী আনিস আহমেদ, সম্পাদক জুলফিকার রাসেল ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলা ট্রিবিউনের প্রয়াত বিশেষ প্রতিনিধি ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা ফারুক ও তার দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।