‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি

সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলনপ্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি জাতি একটি দিনে যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করে সেজন্য বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিসহ মোট ১৫টি দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ৩.২৬ অনুচ্ছেদে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন শিরোনামে দ্বিতীয় প্যারায় বলা হয়েছে, 'দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা, ইতিহাস বিকৃতি এবং প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণ, শহীদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।’ আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণা, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা চারটির স্থলে পাঁচটিতে উন্নীত, দেশের সব হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সুবিধা ও চিকিৎসা সহজলভ্য করা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে রেল, বাস ও লঞ্চে বিনামূল্যে যাতায়াত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বছরে দুটি করে বিনামূল্যে বিমানের টিকেট প্রদান, প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার গেজেট পর্যালোচনা ও সঠিক যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার গেজেট অবিলম্বে প্রকাশ করা।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান (বীর বিক্রম), সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমেদ খানসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।