দুই আসামির জরিমানার অর্থ ট্রাস্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ

হাইকোর্টমিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন আবেদন করায় তা নামঞ্জুর ও দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওই জরিমানার এক লাখ টাকা দাতব্য প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে ও এক লাখ টাকা জাতীয় অন্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে টাকা জমা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তা আদালতকে অবহিত করারও নির্দেশ প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামাল পারভেজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য মতিঝিল সিটি সেন্টারের আমেনা এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড করপোরেশনে বসে দেশের বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় টাকা পাঠানো হয়। গত ২৪ ডিসেম্বর র‌্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে নগদ ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা উদ্ধারসহ ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ২৩টি চেক উদ্ধার করেন। সেখান থেকে আমেনা এন্টারপ্রাইজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন ও তার অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তারা জামিন চাইলে বিচারিক আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

পরে ওই আসামিদের জামিনের জন্য জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী তানিয়া শারমীন হলফনামাকারে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন আঞ্জুমান আরা বেগম। এরপর ওই আবেদনটি নামঞ্জুর করেন আদালত।

ওই নামঞ্জুর আদেশের বিষয়টি গোপন করে পুনরায় আসামিরা বিচারিক আদালতের আদেশ দেখিয়ে একই আদালতে জামিন আবেদন করেন। তবে এবারের আবেদনে হলফনামায় মো. জাকির হোসেন মিন্টু এবং আইনজীবী হিসেবে কামাল পারভেজকে নিযুক্ত করা হয়। তবে বিধানবহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে হাইকোর্টে দ্বিতীয়বার জামিন আবেদনের নিয়ম না থাকায় দুই আসামিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন হাইকোর্ট।