প্রতিবেদকের বক্তব্য
সরকারি নথিপত্রের আলোকেই ‘‘হাকিম ইউছুফের পারিবারিক ‘দখলদারি’, ডুবতে বসেছে হামদর্দ’’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, এই প্রতিবেদন তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নথিপত্রেরও উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। হামদর্দের দুর্নীতি, অনিয়ম তদন্তে গত ২৩ এপ্রিল গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। আছে ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের বক্তব্যও। প্রতিবেদক দফায়-দফায় হাকিম ইউছুফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদনে হাকিম ইউছুফের বড় ছেলে হামদর্দের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জামাল উদ্দিন ভুইয়া রাসেলের বক্তব্য আছে। প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু প্রতিষ্ঠানের পরিবারকরণ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। হাকিম ইউছুফ ও তার তিন সন্তান এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। হাকিম ইউছুফ মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, তার বিবরণ আছে প্রতিবেদনে। সে সবের প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিকতার নীতি মেনেই প্রতিবেদনটি তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনও বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত সব নথিপত্র বাংলা ট্রিবিউনে সংরক্ষিত আছে।
উল্লেখ্য, ১৪ মে হামদর্দ নিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র বক্তব্য আছে। তিনি বলেছেন, ‘হামদর্দের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিবারতন্ত্র চলতে পারে না।’