সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন সুবিধার জন্য যোগ্য সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী নির্বাচন ও উপবৃত্তির অর্থ পাঠানোসহ এসইডিপি’র অন্যান্য কার্যক্রম অবহিতকরণ সম্পর্কিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপুমনি বলেন, ‘যে শিক্ষা মানুষকে নৈতিক, মানবিক ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে না সে শিক্ষা ব্যর্থ। শিক্ষার উদ্দেশ্যই হলো দেশপ্রেমিক, নৈতিক, মানবিক ও দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা। সেক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের। কারণ, তারা সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদারকি করেন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত ১০ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ঝরে পড়ার হার কমেছে, এনরোলমেন্ট বেড়েছে, নকল বন্ধ হয়েছে। এখন প্রয়োজন শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা। এখন গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। গুণগত মান নিশ্চত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
‘কাজ না করলেও বেতন পাবো, এই মানসিকতা দূর করতে হবে’
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমাদের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি, আমরা মনে করি কাজ না করলেও আমরা বেতন পাবো। এই মানসিকতা দূর করতে হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘শিক্ষার গুণগণ মনোন্নয়নে আমাদের পুঁথিগত ও মুখস্থ বিদ্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
কর্মশালায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এসইডিপি’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুল হক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. গোলাম ফারুক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।