ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির





সড়ক, নৌ ও আকাশপথের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য বন্ধসহ রেলপথে টিকিট কালোবাজারি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। শনিবার (২৫ মে) সকালে এক পর্যালোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।
আসন্ন ঈদে সারাদেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের যাত্রীসেবা পরিস্থিতি মনিটরিং করছে যাত্রী অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠনটি। তাদের নিয়োজিত পর্যবেক্ষকরা গত কয়েক দিন নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টার, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন, বিমান বুকিং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। এতে করে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়বে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ’র মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও ঈদযাত্রার যাত্রীসাধারণের বাস, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট দ্বিগুণ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিন গুণ দামে কিনতে হচ্ছে।’ অথচ বিআরটিএ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কয়েকটি অভিযান ছাড়া সারাদেশে দৃশ্যত তেমন কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে দাবি করেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি দেশব্যাপী সব বাস, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলোর ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিআরটিএ, ভোক্তা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো। নৌপথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া রেল সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে ভোগান্তি ও হয়রানি দূর করা সম্ভব বলে তিনি মত দেন।