এছাড়া ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হচ্ছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর ঈদগাহ মাঠগুলোতে জামাত শুরুর আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবে র্যা ব। স্ব স্ব এলাকায় থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে বাড়ানো হবে ‘ইন্টিলিজেন্স পুলিশিং’।
ডিএমপির মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মো. মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজধানীতে চুরি ছিনতাই ঠেকাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন। এছাড়া যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে থাকবে তল্লাশি চৌকি। বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গেও সমন্বয় করা হবে।’
ঈদ জামাতের নিরাপত্তা বিষয়ে মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতেই পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট ও বোম্ব-ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে জাতীয় ঈদগাহে সুইপিং করা হবে। থাকবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে। জাতীয় ঈদগাহসহ বড় জমায়েতের স্থানগুলো ও আশপাশে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। যেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।’
পুলিশের পাশাপাশি ঈদ নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে র্যা ব। সংস্থাটির মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বাংলা ট্রিবিউন বলেন, ‘ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাস, লঞ্চ, মহাসড়ক ও রেল স্টেশনগুলোতে আমরা ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প করেছি। মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিরাপত্তা শুধু রাজধানী নয় সারাদেশের ঈদগাহ ঘিরে, বিশেষ করে যেসব স্থানে আমাদের ব্যাটালিয়ন আছে, সেখানে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করবো। এ ব্যাপারে সবগুলো ব্যাটালিয়নে নির্দেশনা ইতোমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বড়-বড় ঈদগাহ যেগুলো আছে, তার আশপাশে আমাদের টহল সবসময় থাকবে। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঈদগাহ ময়দানের ভেতরেও আমাদের সদস্যরা সিভিল পোশাকে থাকবে। পুরো ময়দান বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপ করা হবে। ছিনতাইকারী, টানা পার্টি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে র্যা বের স্পেশাল ড্রাইভ শুরু হয়েছে বলে জানান মুফতি মাহমুদ খান। তার ভাষ্য, শহরে ফাঁকা হয়ে গেলে টানা পার্টি, ছিনতাই, চুরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এগুলো ঠেকাতে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, টানা পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শপিংমল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৩১ মে থেকে সারাদেশে বিশেষ সতর্কতা
ঈদকে কেন্দ্র করে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যাতে কোনও ধরনের অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য ৩১ মে থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সারাদেশে এই বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। বাড়ানো হয়েছে চেক পোস্ট। নিরাপত্তা নিশ্চিদ্র করতে দেওয়া হয়েছে ডাইভারশন।