মুড়ির কারখানায় একদিন (ফটোস্টোরি)

মুড়িমুড়ি ছাড়া ইফতার ভাবাই যায় না। ইফতারে ছোলা-মুড়ির চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। মুড়ির সঙ্গে পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, শসা, টমেটো, জিলাপি মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু খাবার। তাই রোজার মাসে এর চাহিদা থাকে ব্যাপক। সেজন্য ব্যস্ততা বাড়ে মুড়ির কারখানায়। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় এমন একটি কারখানার ভেতর ঘুরে আসি চলুন।

কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করা চালগরম বালিতে ধান তাপ দেওয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয় মুড়ি। যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি ব্যাপকভাবে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। পাগলার কারখানাটিতে মান ভেদে ৫০ কেজি মুড়ির বস্তা বিক্রি হয় ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকায়।

মুড়ির অনেক গুণ। মুড়ি খেলে মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপনাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। পেটের সমস্যায় শুকনো কিংবা ভেজা মুড়ি খেলে তাৎক্ষণিক উপকার পাওয়া যায়। মুড়ি ভিটামিন ডি, রাইবোফ্লাভিন ও থিয়ামিনের উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার। তাই মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।

চুল্লিতে ঢালার জন্য নেওয়া হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত করা চালমুড়ির রয়েছে অনেক উপকারিতা। মুড়িতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা। এটি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক মুড়ি। মুড়িতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। তাই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। মুড়িতে ভিটামিন বি ও প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। 

মুড়ি ভেজে ও তেল-লবণ মেখে খাওয়া যায়। মুড়ি দিয়ে মোয়া হয়। ঝালমুড়ি তো সব বয়সীর প্রিয়। 
চুল্লিতে ঢালার জন্য নেওয়া হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত করা চালচুল্লিতে ঢালা হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত করা চাল
চুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িচুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িচুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িচুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িচুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িচুল্লি থেকে বেরিয়ে আসছে মুড়িমুড়ির কারখানায় কাজ করছেন একজন শ্রমিকমুড়ির কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা
মুড়ির কারখানায় কাজ করছেন একজন শ্রমিক
মুড়ির কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা




ছবি: লেখক