‘বুড়িগঙ্গা একটি তীর্থস্থান ছিল’

ড. আইনুন নিশাত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর এবং নদী ও পানিসম্পদ বিষয়ক গবেষক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন দেখেছি, সদরঘাটে সকালবেলা সনাতন দম্পতি বুকসমান পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যদর্পণ করতেন। অর্থাৎ বুড়িগঙ্গা একটি তীর্থস্থান ছিল। এ থেকে নদী ও ধর্মের সম্পর্ক বোঝা যায়। কিন্তু আজকে আমি বুড়িগঙ্গার বুকপানিতে কাউকে দাঁড়াতে বলতে পারবো না। কারণ চর্মরোগ হবে। এই যে একটা ধর্মস্থান নষ্ট হয়ে গেল,  এ থেকে বোঝা যায়– আমরা কীভাবে নদীকে ব্যবহার করছি; তার ভৌত পরিবেশ দখল করছি; তার জীববৈচিত্র্য নষ্ট করছি। আগে আমরা নদীকে সম্মানের জায়গায় রাখতাম।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘নদী ও ধর্ম’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে শুরু হয় এই সাপ্তাহিক আয়োজন।  

নদীকে গুরুত্বসহকারে উপলব্ধি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নদীকে আমাদের বুঝতে হবে। আমি সারাজীবন নদীকে বোঝার চেষ্টা করছি। নদীর ধর্ম, নদী কেমন আচরণ করে ইত্যাদি। নদীর সঙ্গে সরাসরি ধর্ম আছে। হিন্দুরা গঙ্গাকে দেবী মনে করেন। আবার নদীর পাড়ে অনেক তীর্থস্থান আছে। ঢাকা থেকে ৩০-৪০ কিমি দূরে লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থান।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ, সাউথ অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব কালচার অ্যান্ড রিলিজিয়নের (এসএসইএএসআর) সভাপতি অমরজিভা লোচান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক শাহনাজ হুসনে জাহান, অধ্যাপক সুমন রহমান ও বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ।    

এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। ইউল্যাবের সহযোগিতায় এটি আয়োজিত হয়েছে।