পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের মানুষের আত্মপরিচয়, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মাইলফলক। এই শহীদদের আত্মত্যাগ জাতিকে চিরদিন প্রেরণা জোগাবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে আলোচিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার প্রাঙ্গণে এক বিশেষ ধর্মীয় পূণ্যানুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, এটি ছিল একপ্রকার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বোনার চেষ্টা— যেখানে ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র, সামাজিক সাম্য ও সাংস্কৃতিক বিজয়ের প্রতি মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পায়।
তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং এটি জনগণের আত্মপরিচয় পুনর্নির্মাণের সাংস্কৃতিক প্রয়াস হিসেবেও বিবেচিত।
এই অভ্যুত্থান ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদী সমাজ গঠনের আন্দোলনে নতুন গতি এনেছে, বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে সামনে এনে দিয়েছে বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে শহীদদের চেতনা ধারণ করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, সংহতিময় ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের আয়োজন শুধু স্মরণ নয় বরং একটি মূল্যবোধনির্ভর সমাজ গঠনের ধারাবাহিক প্রয়াস।
বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মহাথের'র সভাপতিত্বে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সিনিয়র সহকারী সচিব শুভাশিস চাকমা, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বৌদ্ধ ধর্মগুরু বান্তে, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী শান্তিপ্রিয় মানুষ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতা ও ধর্মরাজিক ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।