নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা, বাতিলের সুযোগ নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়াবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের সুযোগ নেই উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ মিথ্যা। নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলবে।’ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো তিনি।
কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘পরীক্ষা নিয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছ হয়েছে। পরীক্ষা বাতিলের বা পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার কোনও সুয়োগ নেই। যত দ্রুত সম্ভব মৌখিক পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, গত ১১ জুন বিএসএমএমইউ’তে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। এই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবে। বিএসএমএমইউ’তে ওইদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ওই ঘটনার কারণেই আজকের এই জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং। সেদিন যারা ভাঙচুর চালিয়েছিল তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা গত প্রায় এক মাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) মেডিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে তা আপাতত স্থগিত করার কথা জানিয়েছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য। ২০০টি মেডিক্যাল অফিসার পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন চিকিৎসকদের একাংশ।