বিমানের ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ আসছে ২৪ জুলাই

বিমানের ড্রিমলাইনারের ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দেশে আসবে ২৪ জুলাই। উড়োজাহাজটি সিয়ালট থেকে সরাসরি বাংলাদেশে পথে যাত্রা করবে ২৩ জুলাই। এরমধ্যে দিয়ে বিমানবহরে ড্রিমলাইনারের সংখ্যা দাড়াবে ৩টি।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো হলো- ‘আকাশবীণা’, ‘হংসবলাকা’, ‘গাঙচিল’ ও ‘রাজহংস’। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে ‘গাঙচিল’ উড়োজাহাজটি ২৮ জুলাই উদ্বোধন করা হবে।

জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৮টি বিমান। বাকি ১টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আসবে সেপ্টম্বর মাসে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হলে বিমানের নতুন নতুন রুট চালু করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বর্তমান রুটগুলোতেও ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৭১টি আসন রয়েছে এবারের ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’-এ। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি, ইকোনমি ক্লাস ২৪৭টি। বিজনেস ক্লাসের আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড করা সম্ভব। টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনারে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানির প্রয়োজন হবে।

ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ঘণ্টায় ৬৫০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। বিমানটির ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছে জেনারেল ইলেক্ট্রিক (জিই)। ইঞ্জিনের সঙ্গে শেভরন প্রযুক্তি যুক্ত থাকায় উড়োজাহাজটিতে শব্দ কম হবে। বিমানটির উচ্চতা ৫৬ ফুট। দুটি পাখার আয়তন ১৯৭ ফুট। উড়োজাহাজের মোট ওজন ১ লাখ ১৭ হাজার ৬১৭ কিলোগ্রাম।

বহরে থাকা ড্রিমলাইনারগুলোর ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট (আইএফই) সেবা দিতে প্যানাসনিক এভিওনিকস করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিমান। বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজগুলোর প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডিএস মনিটর আছে। ফ্লাইটে যাত্রীরা ৯টি টিভি চ্যানেল লাইভ দেখতে পারেন।