উত্তরপত্রে ঘষামাজা, আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ চেয়ে আবারও চিঠি

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বেতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফার নোটিশ

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বেতন কেন বন্ধ করা হবে না তা আবারও জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের কাছে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে কারণ দর্শানোর এ চিঠি জারি করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপত্রে ঘষামাজার অভিযোগ প্রমাণের পর গত ১৩ মে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বেতন কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু এক মাস ছয়দিন পরও তার জবাব পায়নি মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় বুধবার (১৯ জুন) কেন অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ করা হবে না তা আবারও জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়। চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অধ্যক্ষের বক্তব্য নিয়ে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, ‘আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা শাখায় ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে ঘষামাজাসংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হওয়ায় কেন অধ্যক্ষের বেতনভাতা বন্ধ করা হবে না, তার কারণ দেখিয়ে অধ্যক্ষের বক্তব্য নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি কোনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় কেন তার বেতন-ভাতা বন্ধ করা হবে না সে কারণ দর্শিয়ে অধ্যক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তরপত্রে ঘষামাজা করে ফেল করা পরীক্ষার্থীকে পাস করানোর অভিযোগ ওঠে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ করেন শ্যামলী সিমু নামের এক অভিভাবক। ওই অভিযোগের তদন্ত করে ঢাকার জেলা প্রশাসন গত বছরের ৮ আগস্ট প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করে।

উত্তরপত্রে ঘষামাজা নিয়ে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন কেরামত আলীসহ অন্যরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাউশির তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। দ্বিতীয় তদন্তেও অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া মেলে।

এ সংক্রান্ত আগের সংবাদ:

উত্তরপত্রে ঘষামাজা, আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বেতন বন্ধ চায় মন্ত্রণালয়