রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সারাবিশ্বের লেখকদের সরব হওয়ার আহ্বান





৪৪৪রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রশ্নে আন্তর্জাতিক লেখক–সাহিত্যিকদের সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। পাশাপাশি এ ব্যাপারে সরকারকে বিকল্প ভাবারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পেন বাংলাদেশের কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘আসলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব কি না? কতদিনে সম্ভব? এখন এগুলো নতুন করে আলোচনায় আসছে। আমি মনে করি আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা লেখক আছেন তাদের কাজে লাগাতে চাই। পেনের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী যারা আছেন, তাদের কাজে লাগাতে চাই। আমরা মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারবো না কেন? জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সবাইকে আমাদের পক্ষে নিতে পারবো না কেন?’ সেই জায়গায় শুধু সরকার থেকে সরকারের কূটনীতিতে হবে না বলে মত দেন তিনি।
তৃতীয় কোনও জায়গায় প্রত্যাবাসনের প্রসঙ্গ তুলে সমকাল সম্পাদক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিষয়টি বন্ধুপ্রতিম মুসলিম যে রাষ্ট্রগুলো আছে, ওআইসি আছে, তাদের কাছে শক্তভাবে তুলছি না কেন আমরা?’
কবি শামিম রেজা বলেন, ‘সব মহল থেকে আমরা যদি চেষ্টা না করি, কূটনীতির সব স্থান থেকে যদি আমরা না বলি, এ সমস্যার সমাধান হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মুসলিম বিশ্ব যদি চায় আমাদের সাহায্য করতে পারে। চাপ প্রয়োগ করার জন্য যতগুলো জায়গা আছে, সেসব জায়গায়, বিশ্বদরবারে বার বার জিকিরের মতো যদি রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উপস্থাপন না করি, ২ বছরের মাথায় এদের সংখ্যা ১৫ লাখ হয়ে যাবে।’
পেন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের পুনেতে অনুষ্ঠিত ৮৪তম পেন ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেসে পেন বাংলাদেশের পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরা হয়। এ বছর অনুষ্ঠিতব্য পেন ইন্টারন্যাশনালের কংগ্রেসে বিষয়টি রেজ্যুলেশন আকারে গৃহীত হওয়ার কথা।
তিনি বলেন, ‘১৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের কাছে আমরা রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরা চেষ্টা করেছি। এ ব্যাপারে পেন ইন্টারন্যাশনাল যেন জাতিসংঘকে চাপ দেয়, আমরা সে চেষ্টা করবো।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পেন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আহমেদ রেজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কূটনৈতিক এম মুজাহারুল হক, পেন বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি লাভলি বাসার প্রমুখ।