দাবি আদায়ের নোটিশ পেয়ে ক্লাসে ফিরলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা

বুয়েট

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডাব্লিউ)-কে পরিবর্তন এবং ‘সাবেকুন নাহার সনি’র নামে ছাত্রী হল নির্মাণসহ ১৬ দফা দাবিতে টানা সাত দিন ধরে বুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন শেষ হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ বিষয়ে দুটি নোটিশ দেওয়া হলে শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে ক্লাস শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেসময় দাবি পূরণের বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হলে আন্দোলন প্রত্যাকার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দুটি নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী আনিস রহমান। 

আনিস রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে প্রশাসন গতকাল রাতেই নোটিশ দিয়েছেন৷ পরে আমরা ক্লাসে ফিরেছি। তবে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে যাবে না শিক্ষার্থীরা।’

জরুরি বৈঠকে থাকার কারণে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে বুয়েট কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ১৬ দফা দাবিগুলো হলো:গবেষণাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম,আবাসিক হলের অবকাঠামো উন্নয়ন,বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন ও ডিজাইনের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজনে অফিশিয়াল নোটিশ প্রদান, বিতর্কিত নতুন ডিএসডাব্লিউকে (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব নতুন ডিএসডাব্লিউ নিয়োগ, ‘সাবেকুন নাহার সনি’ ছাত্রী হলের নামকরণ, শিক্ষার্থীদের ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লি দেওয়ার যে পদ্ধতি গত মেয়াদে চালু ছিল তার পুনর্বহাল, ভিসির অফিসে আটকে পড়া বিভিন্ন আবাসিক হলের অবকাঠামোগত কাজ সম্পাদন, ‘সিয়াম-সাইফ’ নামে সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপনে ভিসির স্বাক্ষরসহ নোটিশ। এ ছাড়া নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও ন্যাম ভবনের কাজ, বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা, নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ এবং আগের গাছ কাটার ব্যাখ্যা প্রদান, এরই মধ্যে যত গাছ কাটা হয়েছে ভিসির উপস্থিতিতে তার দ্বিগুণ গাছ রোপণ, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি প্রদান, বুয়েট ওয়াইফাই, ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন এবং মাঠের উন্নয়ন করা ও পরীক্ষার খাতায় রোল নম্বরের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু ইত্যাদি৷