তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

আদালত

তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোনও সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৪ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এদিন ধার্য করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নূর মোহাম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

আদালত সূত্র জানায়, আজ (মঙ্গলবার) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনও সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময়ের আবেদন করে। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে আগামী  ৪ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এ মামলায় এপর্যন্ত আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন– তাজরীন গার্মেন্টসের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, লোডার শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপার ভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।

অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন রানা, রাজ্জাক, মঞ্জুর ও দুলাল।

২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের পর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর একেএম মহসীনুজ্জামন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ভবনটির নকশায় ত্রুটি ও জরুরি নির্গমনের পথ না থাকায় এবং আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বাইরে বের হতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীরা অগ্নিকাণ্ডকে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া বলে শ্রমিকদের কাজে ফেরত পাঠিয়ে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১১১ জন পোশাক শ্রমিক মারা যান।