মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১৯ জুন এই বেঞ্চেই আবেদনটি করা হয়েছিল।
আদালতে ভুট্টোর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী ভুট্টোসহ তার পরিবার ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানায়। মানি লন্ডারিং আইনে করা নারায়ণগঞ্জের একটি মামলা তদন্তের সময় ভুট্টোর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তদন্তে নেমে ভুট্টোর মাদক ব্যবসা ও বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট সিআইডি পুলিশের অরগানাইজড ক্রাইমের (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন টেকনাফ থানায় ভুট্টো, তার বাবা, স্ত্রী ও ভাইসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় গত ৫ মার্চ পুলিশের আবেদনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভুট্টোর পরিবারের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সম্পদ জব্দ করে।
এই জব্দ সম্পদ ছাড়িয়ে নিতে হাইকোর্টে আবেদন করে ভুট্টো। এতে কক্সবাজার আদালতের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট মামলার দিনই ভুট্টোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয় সে।
এ মামলার অন্য আসামি ভুট্টোর ভাই নুর মোহাম্মদকে গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পরদিন সে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়।