কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৭ জুলাই

আদালত

রাজধানী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলামকে পরবর্তী জেরার জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার ( ২৫ জুন) এই কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা শুরু করেন। জেরা শেষ না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৩৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষ হয়েছে। 

মামলার আসামিরা হলেন- জাবালে নূরের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অপর বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর এই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এসময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতির জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এই মামলা দায়ের করেন।