১৮ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় 'অশীতিপর' রাবেয়া: ব্যাখ্যা দিতে বিচারককে তলব

আদালতে রাবেয়া খাতুনউচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ থাকার পরও ‘অশীতিপর’ রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার মামলাটি চলমান রাখার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকার অতিরিক্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের-২ এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী বুধবার (৩ জুলাই) ওই বিচারকের পাশাপাশি মামলার সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাহাবুদ্দিন মিয়াকেও হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস মিয়ার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানাতে বলা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে।

আদালত মামলার আসামি রাবেয়ার বয়স প্রমাণে তার জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (২৬ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে এ নির্দেশ দেন।

আদালতে আসামিদের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

এর আগে রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে তেজগাঁও থানার দায়ের হওয়া মামলা ১৮ বছর ধরে নিম্ন আদালতে চলমান থাকায় নিম্ন আদালতের নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত ৩০ এপ্রিল এই মামলায় বিচারে বিলম্ব কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের বিচারককে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’  শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন তেজগাঁও থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলা নম্বর ১৯৩৮/০২। এরপর তিনি গ্রেফতার হন, ছয় মাস কারাগারে থেকে জামিনও পান। পরে তাকে সহ দুই আসামি জুলহাস ও মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয় মামলার বিচার।