তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) জাকির হোসেন বলেন, ‘মসজিদ তহবিলে জন্য কোনও ধরনের অর্থ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করার বিধান নেই। সরকার থেকে কলেজের মসজিদে ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয় না। কোনও প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিলে তাদের অভ্যন্তরীণ আয় থেকে তা মেটাতে পারেন। কিন্তু, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিতে পারবেন না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁদা আদায়ের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ২৫ জুন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র দত্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা ফি আদায়ের ব্যাখ্যা দেন।
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত অতিরিক্ত ১৫০ টাকা মসজিদের তহবিল বাবদ নেওয়া হয়। অমুসলিম ছাত্রছাত্রীদের জন্য মসজিদ তহবিল ফি বাবদ কোনও টাকা নির্ধারণ করা হয়নি। মসজিদ তহবিল ফি নির্ধারণ নতুন কোনও বিষয় নয়। ইতোপূর্বেও মসজিদ তহবিল ফি অন্যান্য সরকারি কলেজের মতো সাতকানিয়া সরকারি কলেজেও নির্ধারণ করা হয়েছিল। মসজিদ তহবিল বাবদ প্রাপ্ত টাকা থেকে মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনের বেতন, মসজিদ সংরক্ষণ ও মসজিদ পরিচালনা বাবদ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করা হয়।’
মসজিদ তহবিল বাবদ টাকা নেওয়ার কোনও নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি আসার আগে থেকেই এই কলেজে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মসজিদ তহবিল ফি নেওয়া হয়। অন্যান্য সরকারি কলেজেও নেওয়া হয়। আমাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য ফেসবুকে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও মসজিদ ফি আদায় করা হচ্ছে না। ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক এ ধরনের কোনও ফি আদায় করা হবে না।’