এক বছর ধরে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ‘ধর্ষক’ শিক্ষকের বিচার দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত) একেএম রেজাউল করিম রতনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

সহপাঠী ধর্ষণের ঘটনায় চলমান বিক্ষোভের তৃতীয় দিন সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে কলেজের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি জানান তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে আসাদগেট আড়ংয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই স্থানে দোষী উপসচিবের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী ছাড়াও সাবেক শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ একেএম রেজাউল করিম রতন কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে চেতনানাশক ওষুধ পান করিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ওই ঘটনার ভিডিওচিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টানা এক বছর তাকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু তার কোনও বিচার হয়নি। তাই তারা দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সাবেক শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি১এসময় তারা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অভিযুক্ত রেজাউল করিমের ফাঁসি, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদান, মামলা কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান, কোনও প্রকার জামিন মঞ্জুর না করা, মামলার কাজ শেষ না হাওয়া পর্যন্ত আসামিকে আইনের আওতায় রাখা।

কলেজ শিক্ষার্থী শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের সাবেক অধ্যক্ষ একেএম রেজাউল করিম রতন আমাদের ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে টানা এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনি জামিনে বের হয়ে এখন বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। বাবার মতো শিক্ষকের কাছে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকেন, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা চাই এই ধর্ষক শিক্ষকসহ সব ধর্ষণ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।