কিন্তু এই ‘জয় শ্রীরাম’ যেভাবে হালে ভারতের নানা প্রান্তে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের অনুষঙ্গ ও হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, তা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন। গত ২২ জুন সারাদেশে ভাইরাল হওয়া একটি মর্মান্তিক ভিডিওতে দেখা গেছে— ঝাড়খণ্ডে উত্তেজিত জনতা তাবরেজ আনসারি নামে এক যুবককে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। তিনি হাতজোড় করে, কাঁদতে কাঁদতে প্রাণভিক্ষা চাইছেন। কিন্তু তাকে বলা হচ্ছে, আগে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে হবে!
ওই হামলার দুই দিনের মাথায় পশ্চিমবঙ্গে হাফিজ মোহাম্মদ হালদার নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় একটি হিন্দু গোষ্ঠীর লোকজন। হাফিজের অপরাধ ছিল— তিনি নাকি ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে চাননি। ওই সপ্তাহেই মুম্বাইতে ফয়সল উসমান নামে এক ট্যাক্সিচালককে গভীর রাতে বেদম মারধর করে একদল সন্ত্রাসী। ফয়সল মাফ চাইতে গেলে তাকে বলা হয়— কেবল ‘জয় শ্রীরাম’ বললেই সে ছাড়া পাবে।
দেশের আরও নানা জায়গায় ফেজ টুপি পরিহিত কাউকে দেখলেই তাকে থামিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। বস্তুত ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের প্রিয় স্লোগান হয়ে উঠেছে এই শব্দবন্ধটি। এমনকি, ভারতের নবনির্বাচিত পার্লামেন্টে বিভিন্ন দলের মুসলমান আইন প্রণেতারা (এমপি) যখন শপথ নিতে দাঁড়িয়েছেন, তখন ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শাসক দল বিজেপির সদস্যরা একটানা চিৎকার করে গেছেন, ‘জয় শ্রীরাম’।
কিন্তু ভারতের সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পটভূমিতে ঠিক কী তাৎপর্য এই স্লোগানটির? জয় শ্রীরাম স্লোগানের উৎপত্তি কোথায়, আর কীভাবেই বা এটি আজকের এই চেহারায় ধরা দিলো? বিজেপি যেমনটা দাবি করছে, যে এটি একটি নিছক রাজনৈতিক বা ধর্মীয় স্লোগান, বিষয়টা কি সত্যিই তাই? নাকি এটি মুসলিমবিরোধী হিংসার আড়াল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে?
এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জয় শ্রীরামের ইতিহাস আর ভূগোল খুঁড়েই খোঁজা হয়েছে ওপরের সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর।
ধর্মপ্রাণ মানুষের নিরীহ সামাজিক সম্বোধন?
বিজেপির ছোটবড় নেতারা সবাই প্রায় একবাক্যে বলে থাকেন জয় শ্রীরাম নিয়ে আপত্তি জানানোর কিছু নেই, কারণ, উত্তর ভারতে হিন্দুদের প্রধান দেবতা শ্রীরাম চন্দ্র, আর এটা তারই জয়ধ্বনি মাত্র। উত্তর ভারতে ধর্মভীরু লোকজন, সে তাদের রাজনৈতিক সমর্থন যে দলের প্রতিই হোক না কেন, তারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা হলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলেই নাকি সম্ভাষণ করেন।
কিন্তু এই দাবিতে আসলে একটা ছোট্ট মিথ্যে লুকিয়ে আছে।
উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ থেকে প্রবীণ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক অরিন্দম রায় বলছিলেন, ‘এই মুলুকে কখনোই কিন্তু জয় শ্রীরাম বলে পরস্পরকে সামাজিক সম্ভাষণ করার রেওয়াজ ছিল না। হ্যাঁ, দেখা হলে মানুষ একে অন্যকে ‘রাম রাম’ বলতেন, আজও বলেন। কেউ কেউ আবার বলেন ‘জয় সিয়ারাম’, সেটাও শ্রীরাম চন্দ্রেরই একটা নাম।’
‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমি বলে যেটা পরিচিত,সেই মথুরা-বৃন্দাবনে মানুষজন আবার দেখা হলেই একে অন্যকে ‘রাধে রাধে’ বলে ওঠেন। কৃষ্ণের প্রণয়ী শ্রীরাধিকার নামেই ‘রাধে রাধে’, সেটাও এক ধরনের কুশল সম্ভাষণ।’
‘উত্তর প্রদেশে যেমন এগুলো, গুজরাটে আবার প্রধান আরাধ্য হলেন কৃষ্ণ। ফলে গুজরাটি হিন্দুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় কুশল সম্ভাষণ হল ‘জয় শ্রীকৃষ্ণা’। একে অন্যের সঙ্গে দেখা হলে তারা প্রথমে এটা বলবেনই বলবেন!’, জানাচ্ছেন অরিন্দম রায়।
ফলে রাধে রাধে, জয় সিয়ারাম বা জয় শ্রীকৃষ্ণা-কে যেভাবে সামাজিক সম্বোধন হিসেবে বর্ণনা করা যায়, জয় শ্রীরামকে কিছুতেই সেই গোত্রে ফেলা যায় না বলে প্রবীণ এই গবেষকের দাবি।
তাহলে এই জয় শ্রীরাম স্লোগানটা এলো কোত্থেকে?
এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো— এটা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল ঠিক ৩০ বছর আগে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানির বিখ্যাত (বা কুখ্যাত) রথযাত্রার সময়।
‘বাচ্চা বাচ্চা রাম কা, ক্যায়া ইন্তেজার শাম কা?’
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তখনও অক্ষত। সেখানে রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলতে, আর বিজেপির ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টায় ‘৯০ সালে আদভানি গুজরাটের সোমনাথ মন্দির থেকে শুরু করলেন দেশব্যাপী রথযাত্রা। একটি আধুনিক, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টয়োটা ভ্যানকে রথের আদলে সাজিয়ে নিয়ে তার চাকা গড়ালো রাজপথে।
কিন্তু রথযাত্রার উন্মাদনায় আসমুদ্রহিমাচল ভারতের হিন্দুদের সামিল করতে সেই যাত্রার সঙ্গে দরকার ছিল একটি জোরদার রক্ত-গরম-করা বজ্রনির্ঘোষ। বিজেপি নেতৃত্ব অনেক ভেবেচিন্তে তখন বের করলেন এই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, সহযোগী বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও খুব পছন্দ হল শব্দ দুটো।
মাথায় গেরুয়া পট্টি বেঁধে হাজার হাজার বিজেপি সমর্থকের তখন থেকেই এই জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া শুরু হলো। রথের ওপর থেকে মাঝে মাঝেই তাদের সঙ্গে গলা মেলাতেন আদভানি-মুরলী মনোহর জোশী কিংবা সে দিনের তরুণী সাধ্বী উমা ভারতী।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অপূর্বানন্দ তখন বিহারের পাটনায় কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে, রাস্তায় মুসলিমদের থামিয়ে জোর করে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা কিন্তু সে সময়েই প্রথম শুরু। আমার এক মুসলিম বন্ধু হাজীপুর থেকে গঙ্গার ওপরের ব্রিজ পেরিয়ে পাটনায় আসছিল, তখন তাকে থামিয়ে রথযাত্রার সমর্থকরা জোর করে জয় শ্রীরাম বলায়। সেদিন খুব কেঁদেছিল ও!’
পরে সেই বিহারেই মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব রথযাত্রার পথ আটকে লালকৃষ্ণ আদভানিকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু জয় শ্রীরামের জনপ্রিয়তার ঊর্ধ্বগতি তিনি ঠেকোতে পারেননি।
এই প্রসঙ্গে একটা মজার গল্প শুনিয়েছিলেন দিল্লির প্রয়াত সাংবাদিক নোরা চোপড়া। রাম জন্মভূমি আন্দোলন কভার করতে তখন খুব ঘন ঘনই অযোধ্যা যেতে হতো তাকে, আর সেখানে তখন থাকতো সারাদেশ থেকে আসা হিন্দু করসেবকদের ভিড়।
এই প্রতিবেদককে নোরা বলেন, ‘সারাদিন এই করসেবকরা জয় শ্রীরাম স্লোগানে অযোধ্যা মাতিয়ে রাখতেন। আর দিনের আলো একটু ঢললেই তাদের স্লোগানটা পাল্টে যেত ‘বাচ্চা বাচ্চা রাম কা, ক্যায়া ইন্তেজার শাম কা?’
‘এই স্লোগানটা আসলে ছিল দ্ব্যর্থবোধক। নিজেদের শ্রীরাম চন্দ্রের বাচ্চা বলে পরিচয় দিয়ে তারা জানতে চাইতেন, সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করার দরকার কী?’
‘কিন্তু অপেক্ষাটা কীসের ছিল? ওটা আসলে ছিল ছোট ছোট রামের বোতলের (‘নিব’) জন্য, আর জানি না সন্ধ্যার আগেই কোথা থেকে চলে আসতো অঢেল রামের বোতলের সাপ্লাই’ সেগুলো হাতে হাতে ঘুরতো করসেবকদের।’
‘ভগবান রামের নামে দিনভর আন্দোলনের পর রাতভর চলতো সেই পানীয় রামের সাধনা’, হাসতে হাসতে বলেছিলেন নোরা।
ধর্ম আর রাজনীতির ককটেলে মেশানো ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান কিন্তু ভারতের ল্যান্ডস্কেপে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছিল তখন থেকেই।
‘অ্যাই শালা, পালাচ্ছিস কোথায়? সাহস থাকলে এদিকে আয়!’
মাস দুয়েক আগে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা যখন তুঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে ক’জন যুবককে ধাওয়া করতে করতে ওপরের কথাগুলো বলতে শোনা গিয়েছিল।
অনেকেই সেদিন নিজের কানকে পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারেননি— মমতা কীভাবে এগুলো প্রকাশ্যে বলতে পারলেন!
আজকের যুগে ঘটনা ঘটলে মোবাইলে রেকর্ড করা যায়, আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেও সময় নেয় না। কাজেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই যে ওগুলো বলেছেন তা কিন্তু গোটা পশ্চিমবঙ্গ জেনে গিয়েছিল নিমেষে।
কিন্তু সেদিন মমতা ব্যানার্জি কেন অতটা চটে গিয়েছিলেন? কী এমন করেছিলেন ওই যুবকরা, যাতে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত নিজের মুখে লাগাম রাখতে পারেননি?
উত্তর হলো, সেই জয় শ্রীরাম!
বিজেপির সমর্থক ওই যুবকেরা মমতার যাত্রাপথের পাশে দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে একটু বিরক্ত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু তিনি অতটা রেগে যাবেন তা বোধহয় তাদেরও কল্পনার বাইরে ছিল।
উত্তর বা পশ্চিম ভারতে তাদের ট্র্যাডিশনাল প্রভাব বলয়ের বাইরে ভারতের যে প্রান্তেই বিজেপি নিজের পায়ের তুলনায় জমি তৈরি করতে চেয়েছে, সেখানেই তারা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে এই জয় শ্রীরাম স্লোগান। যেমন পশ্চিমবঙ্গে, যেমন আসাম বা ওড়িশায়।
পশ্চিমবঙ্গ যেমন গত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিজেপির নিশানায়, আর তাই সেখানে দলের প্রত্যক্ষ মদতে ‘রামনবমী’ (রামচন্দ্রের জন্মদিন) পালনকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে অল্পকিছু অবাঙালি লোক ছাড়া আগে কেউ কখনও রামনবমী পালন করতেন না, কিন্তু ইদানীং কলকাতা বা আসানসোল শহরে রামনবমীর বিশাল শোভাযাত্রা বেরোচ্ছে। আর অবধারিতভাবে সেখান থেকে মুহুর্মুহু আওয়াজ উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’।
মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বারবার বলার চেষ্টা করছে, জয় শ্রীরাম আসলে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করার একটা কৌশল। কিন্তু অনেকেই এখন আর তাদের কথা কানে তুলছেন না। মাঝখান থেকে বিজেপির পাতা ফাঁদে আগ বাড়িয়ে পা-ফেলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছেন।
বিজেপি এখন বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে, ‘ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে শ্রীরাম বন্দনা করা কি অপরাধ নাকি?’ দলের নেতারা মমতা ব্যানার্জির বাড়িতে জয় শ্রীরাম লেখা লাখ লাখ পোস্টকার্ড ছাড়ারও পরিকল্পনা করছেন।
তবে লক্ষ্যণীয় হলো, এই স্লোগান যেমন নতুন নতুন রাজ্যে বিজেপিকে রাজনৈতিক ভিত মজবুত করতে সাহায্য করছে, তেমনি সেসব জায়গায় নানা বাহানায় মুসলমানদের সংঘবদ্ধ পিটুনি দেওয়ার সময়েও উচ্চারিত হয়ে আসছে সেই ‘জয় শ্রীরাম’।
সেটা যেমন কলকাতার কাছে বরানগরে হচ্ছে, তেমনি ঘটছে আসামের বরপেটাতেও। মুসলমানরা সংঘবদ্ধ পিটুনির শিকার হচ্ছেন, পাশাপাশি তাদের বলতে বাধ্য করা হচ্ছে জয় শ্রীরাম।
জয় শ্রীরাম নিয়ে অমর্ত্য সেন বনাম দিলীপ ঘোষ
এই পটভূমিতেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন শনিবার (৬ জুলাই) কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় মন্তব্য করেছেন, জয় শ্রীরাম আসলে কখনোই বাঙালির সংস্কৃতির অংশ ছিল না, এটাকে এখন আসলে ‘মানুষকে পেটানোর একটা অজুহাত’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও এমপি দিলীপ ঘোষ। ‘অমর্ত্যবাবু আর কখনও ভারতে না-এলেই ভালো’ বলে মন্তব্য করে তিনি দাবি করেছেন, বরং জয় শ্রীরাম বলার জন্যই নাকি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হচ্ছে।
বামপন্থী রাজনীতির গবেষক মনোবীণা গুপ্ত বলছিলেন, ‘একদিন এই পশ্চিমবঙ্গেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অমর স্লোগান তৈরি হয়েছিল ‘তোমার নাম, আমার নাম; ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম’, আর তার এত বছর বাদে এসে এখন সেই রাজ্যকেই শুনতে হচ্ছে ‘তোমার নাম, আমার নাম; জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম!’
তৃণমূল নেতারাও খানিকটা মৃদু সুরেই বলার চেষ্টা করছেন, এটা তো আসলে বিজেপির রাজনৈতিক স্লোগান ছাড়া কিছুই নয়।
আর বিজেপি নেতাকর্মীরা তার তিনগুণ জোরে চেঁচিয়ে বলছেন, ‘এটা ধর্মীয় স্লোগান’ ভগবান শ্রীরামের জয়ধ্বনি ‘একশোবার বলবো, হাজারবার বলবো।’
ফলে এই স্লোগানের পেটেন্ট কার, ধর্ম না রাজনীতির— সেই কূট বিতর্ক চলছেই।
আর জয় শ্রীরামের জয়ধ্বনির আওয়াজে চাপা পড়ে যাচ্ছে গোটা ভারতজুড়ে প্রাণ হারানো একের পর এক মুসলমানের আর্তনাদ