উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন কমিটির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল ভূঁইয়া। এ সময় ছিলেন জাবি অধ্যাপক এমরান জাহান, মুক্ত আসর উপদেষ্টা অধ্যাপক রাশেদা নাসরীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবেদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাহাদাত পারভেজ, আশফাকুজ্জামান, সংগীতা আচার্য, মাহমুদ ইকবাল, হিমেল হোসেন, সাইফুল্লাহ সাদেকসহ অনেকে।
উদ্বোধন পর্ব শেষে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা উত্তর, সাভার, ধামরাই, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলার ৩০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। চারটি বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শীর্ষ ১০ জন করে মোট ৪০ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় বই, ক্রেস্ট, সনদ। বিজয়ীরা আগামীতে জাতীয় অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।
জাবি’র জহির রায়হান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিনের সংগ্রামে গড়ে তোলা ইতিহাস একটি জাতির পরিচয়কে তুলে ধরে। ইতিহাসে সেই পরিচয়ের জায়গাটা গড়ে তুলেছে বাঙালি জাতি। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। বাঙালি যেখানেই যাক না কেন, তারা বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে। বাঙালি সংস্কৃতির সবটুকু ধারণ করেই তাকে থাকতে হবে। তা না হলে মানুষের যে মর্যাদা তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সেলিনা হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন, যা বাঙালিকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। তাই নিজের পরিচয়ের প্রশ্নে তোমরা কখনোই নিজেকে ক্ষুদ্র মানুষ মনে করবে না। তোমরা ইতিহাস যখন জানবে, জীবনের সত্যকে যখন জানবে, তখন মর্যাদার সঙ্গে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করে তুলতে সমর্থ হবে।’
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদ হেলাল বলেন, ‘মানুষকে মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হলে নিজের শেকড়ের ইতিহাস জানতে হবে। জানতে হবে প্রমিথিউসের ইতিহাস, কেন তিনি সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন।’
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাবি’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাদিয়া রশ্মি সূচনা। এই আয়োজনে সহযোগিতা করে ইম্প্রেস কমিউনিকেশন, নীলপদ্ম, বিজ্ঞানচিন্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ।