‘এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের সঙ্গে প্রতারণা’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা (ছবি– প্রতিনিধি)

‘এরশাদের শাসনামলে ছাত্র জয়নাল, রাউফুন বসুনিয়া, দীপালী সাহা, ডা. মিলন, শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম, নূর হোসেনসহ অনেককে হত্যা করা হয়৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি৷ আজ সেই বিশ্ববেহায়ার বিচারহীন স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে; যা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। এ কর্মসূচিতে ওপরের কথাগুলো বলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম।

মানবন্ধনে সাদা কাপড় পরে দাঁড়ান অংশগ্রহণকারীরা; যাতে স্বৈরাচারবিরোধী নানা স্লোগান দেখা যায়। এর মধ্যে “আমি জয়নাল, এরশাদের স্বাভাবিক মৃত্যু আমার রক্তের সঙ্গে প্রতারণা”, “আমি নূর হোসেন, এরশাদ আমার খুনি”, “আমি তাজুল ইসলাম, আমার খুনি এরশাদের বিচারহীন স্বাভাবিক মৃত্যু আমি চাইনি”, “আমি দীপালী সাহা, এরশাদ আমার খুনি”, “আমি রাউফুন বসুনিয়া, আমার হত্যাকারীর বিচার কই?” ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য৷

মানববন্ধনে ছিলেন– বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ঢাবি সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ৷

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুশৃঙ্খলভাবে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন ছাত্র-ছাত্রীরাও। মিছিলের প্রথম ভাগে শতাধিক ছাত্রী ছিলেন। সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে হাইকোর্টের কাছে মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে লাঠিচার্জ করে। সাধারণ ছাত্ররাও তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এরপর ছাত্রদের ওপর চলে গুলিবর্ষণ। এসময় গুলিবিদ্ধ হন জয়নাল, জাফর, দীপালি সাহা। জয়নালকে গুলিবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।