জঙ্গি সংগঠন ধ্বংস করেছি, মতাদর্শ রয়ে গেছে: মনিরুল ইসলাম

‘সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯’ বিজয়ী দলসমূহের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সিরিয়া ও ইরাকে আইএস সৃষ্টির পর সেই ঢেউ বাংলাদেশেও লেগেছিল। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা হয়েছে। এরপর আমরা দেশবাসীকে নিয়ে জঙ্গিদের সেই সংগঠনগুলো ধ্বংস করেছি। তবে জঙ্গি বা উগ্রবাদের মতবাদ ধ্বংস করতে পারিনি। এটা রয়ে যায়। মতাদর্শকে মত দিয়েই প্রতিরোধ করতে হবে।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজে ‘সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯’ বিজয়ী দলসমূহের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা একদিনে হয়নি। এটা দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া। সিরিয়া ও ইরাকে আইএস উত্থানের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও সেই ঢেউ এসেছিল।  এরপর আমরা দেশবাসীকে নিয়ে জঙ্গিদের যেসব সংগঠন ছিল সেগুলো ধ্বংস করেছি। তবে মতাদর্শ ধ্বংস করা যায়নি। সেটা রয়েছে। মতাদর্শ মত দিয়েই ধ্বংস করতে হয়।  সেজন্য সমাজের কয়েকটি দিক দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মতাদর্শ ধ্বংস করতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে বিতর্ক। কারণ একজন যুক্তিবাদী মানুষ কখনও উগ্রবাদী হতে পারে না। সেজন্য তরুণদের যুক্তিবাদী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও ইমাম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।’‘সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯’ বিজয়ী দলসমূহের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলংকা হামলার পর আমাদের দেশে হামলার ঝুঁকি ছিল। রমজানে সেই ঝুঁকি আরও বেশি ছিল। তবে আমরা রুখে দিয়েছি।’

দেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকি আছে। তবে ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমাটিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই সহিংস উগ্রবাদ বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, তা'মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা ও সরকারি বাঙলা কলেজ।