ভোলার পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে তলব

সুপ্রিম কোর্ট

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে প্রতিবেদন পাঠানোর কারণে ভোলার পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২০ আগস্ট তাকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে রাবেয়া খাতুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল।অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

এর আগে গত ৩ জুলাই একটি অস্ত্র মামলার আসামি জুলহাস বেঁচে আছেন কিনা, পুলিশকে  তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায়  বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলহাস ১০ থেকে ১২ বছর আগে পরিবার নিয়ে ভোলায় চলে গেছেন। অন্যদিকে, ভোলার এসপির দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলায় জুলহাস নামে কোনও ব্যক্তি নেই এবং তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এরপর রাবেয়ার আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল আদালতকে বলেন, ‘২০০৪ সালের ১ নভেম্বর ফার্মগেটের তেসতুরি বাজারে জুলহাসকে দুস্কৃতিকারীরা হত্যা করে। এ ঘটনায় তার মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এরপরও পুলিশের পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

পরে আদালত জুলহাস জীবিত নাকি মৃত, সে বিষয়ে দাখিল করা প্রতিবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় ভোলার এসপিকে তলবের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’  শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বৃদ্ধার বরাত দিয়ে বলা হয়, '১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেই। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে, তাও জানি না। পুলিশরে শরবত, মোরাব্বা বানাই খাওয়াছি। তারপরেও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না। মরতে চাই। অনেকদিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।'

পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে  বিচারিক আদালতে থাকা মামলার কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেন এবং মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি চলমান রাখেন।