মশা নিধনের অকার্যকর ওষুধ সরবরাহ-কেনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিধনে অকার্যকর ওষুধ কেনা ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে দুই সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে, গত ২ জুলাই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির পাশাপাশি বায়ুদূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে, যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদের ওই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতায় মামলাটি পুনরায় শুনানির সময় আদালত রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এরপর গত ১৩ মার্চ ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া, আরও এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দুই সিটির মশা নিধনের পদক্ষেপ জানাতে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।