করপোরেট অফিসে চুরি করাই ওদের পেশা

ডিবির হেফাজতে চোরচক্রের পাঁচ সদস্য

ওদের টার্গেট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার করপোরেট অফিস। সুকৌশলে ডিজিটাল লক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করাই ওদের পেশা। এই চক্রের এক সদস্য উবারচালক, আরেকজন সোনার বাংলা ট্রেনের অ্যাটেনডেন্স। এই দু’জনসহ পাঁচ জনের একটি চোরচক্রকে রবিবার (২১ জুলাই) রাতে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো—বদরুল হক ওরফে নাসির, জামাল উদ্দিন, মফিজুর রহমান, মমিনুল ইসলাম ও রাহাদ সরকার। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা পাঁচটি ল্যাপটপ, নগদ এক লাখ ৯০ হাজার টাকা, চোরাই কাজে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার, তালা ভাঙার একটি সিলাইরেঞ্জ, দুটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি হেক্সো ব্লেড, একটি প্লাস ও একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়।

চোরদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিস

সোমবার (২২ জুলাই) সকালে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা ২-৩ বছর ধরে রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি, কলাবাগান ও রমনা এলাকার বিভিন্ন করপোরেট অফিসে ঢুকে সুকৌশলে ডিজিটাল লক খুলে চুরি করে আসছিল। গ্রেফতার মফিজুর রহমান একজন উবারচালক এবং মমিনুল ইসলাম সোনার বাংলা ট্রেনের অ্যাটেনডেন্স। তারা দু’জন ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অফিসের তথ্য সংগ্রহ করতো। পরবর্তী সময়ে চক্রের সদস্যরা সবাই একত্রিত হয়ে চুরির কাজটি করতো।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি করতো। এ পর্যন্ত তারা দুশ’র বেশি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের অন্য সহযোগীদেরও ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।