গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি

গণপিটুনির বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্যর মানববন্ধনগণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে বা তাদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা ও তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রতিবন্ধী নাগরিক ঐক্য।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এদাবি জানান সংগঠনের কর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ঢাকাসহ ৮ জেলায় মোট ১৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বর্বরোচিতভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এর মধ্যে দুজন নিহত হন। হতাহত এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে আট  জন পুরুষ ও সাত জন নারী। গণপিটুনির শিকার এই ১৫ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে ১৪ জন মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী এবং একজন  বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তারা প্রতিবন্ধী বলেই  জানতেও পারছেন না যে, কেন তারা এই নির্যাতনের শিকার হলেন।

প্রতিবন্ধী বক্তারা বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যার ১৬ ভাগ প্রতিবন্ধী হলেও সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে আমরা দশমিক এক ভাগও পাই না। কিন্তু গত কয়েকদিনে গণপিটুনির নামে হতাহত জনসংখ্যার ৬০ ভাগের বেশি ভিকটিম হলাম আমরা। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত করুণ। আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই বলেই এত নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকি বলে আমরা মনে করি।

মানববন্ধনে তারা দাবি জানান, গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তিদের বা তাদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং আহত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা ও প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বর্বরোচিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে করতে হবে।

মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০ জন প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ উপস্থিত ছিল।