সাত কলেজ সমস্যার সমাধান যেভাবে দেখে প্রগতিশীল ছাত্রজোট

ঢাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে কিছু প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবের কথা জানান বামজোটটির নেতারা।

তাদের প্রস্তাবনাগুলো হলো- সাত কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এর মধ্যে ঢাবির অধিভুক্ত হয়েছে তাদের শিক্ষাজীবন (অনার্স ও মাস্টার্স) সম্পূর্ণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে; ২০১৯-২০২০ বা ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবির অধীনে সাত কলেজের অনার্স ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে; সরকারের উদ্যোগে সর্বজনস্বীকৃত একজন শিক্ষাবিদকে প্রধান করে নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য নিয়ে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে হবে। এ কমিশন শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান চিহ্নিত করবে; গোটা বিশ্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কলেজগুলো পরিচালিত হয়। সেক্ষেত্রে কমিশন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করে তাদের অধীনে এই কলেজগুলোকে ধীরে ধীরে অধিভুক্ত করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ফয়েজ উল্লাহ। এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদের মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও স্বার্থবোধ এই সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তির অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, অধিভুক্ত করা জন্য ঢাবি একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগতভাবে প্রস্তুত কিনা তা বিবেচনা না করেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন একে অন্যের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাদের উচিত সবাই মিলে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি উলুল আমর অন্তর এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য সোহাইল আহমেদ শুভ।