শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় একটি হোটেলে আয়োজিত ফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের (ফাপা) ইসিএম ও এজিএম সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) আয়োজিত এই বার্ষিক কর্মসূচিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ১২টি দেশ থেকে প্রতিনিধি অংশ নেন।
মাহবুব আলী বলেন, বর্তমান সরকার দেশে সিরিজ মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। ফলে যাত্রী পরিবহন সেবার পাশাপশি ফ্রেইটার সার্ভিসেও বাংলাদেশের অবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব বলেন, বিমানবন্দরের নিরপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এর স্বীকৃতিও দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে ফাপা’র চেয়ারম্যান নিরাল কাদওয়াথারথি বলেন, বিমানবন্দরে অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়লে পণ্য পরিবহণ বাড়বে। দেশের আমদানি-রফতানি বাড়বে, হবে দেশের আর্থিক উন্নয়ন। এ কারণে বিমানবন্দরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি জরুরি।
বাফার প্রিসিডেন্ট মাহবুবুল আনাম জানান, ফাপা সদস্যরা সংশ্লিষ্ট এয়ারকার্গো বিষয়ে বৈশ্বিক সংস্থার সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনার স্বার্থে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এয়ার কার্গো সেবার উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেডারেশন অব এশিয়া প্যাসিফিক কার্গো অ্যাসোসিয়েশন ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য দেশ/অঞ্চলের সংখ্যা ১৯। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনেই, হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, চাইনিজ তাইপে এবং থাইল্যান্ড।