দুর্বৃত্তের ছোড়া কেমিক্যালে ঝলসে গেছেন মাদ্রাসাছাত্রী

ঢামেকের বার্ন ইউনিটময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুর্বৃত্তের ছোড়া কেমিক্যালে মিনহা রাফিদা (২০) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী ঝলসে গেছেন। দগ্ধ মিনহা পাঁচবাগ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল যোগে দুই যুবক এসে তার গায়ে কেমিক্যালে ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার মুখ ও হাত ঝলসে যায়।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মিনহা রাফিদা গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার চর সাকচুড়া গ্রামের পল্লি চিকিৎসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মেয়ে।

ঢামেক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।

দগ্ধ শিক্ষার্থীর বড় ভাই নুর উদ্দিন খাঁন বলেন, ‘শনিবার সকালে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারাটিয়ার নির্জন জায়গায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুই তরুণ আমার বোনের গায়ে কেমিক্যাল ছুড়ে মারে। এতে তার দুই হাত আর নাক থেকে থুতনি পর্যন্ত ঝলসে যায়। এসময় মিনহা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। তার মুখে ও হাতে পানি ঢালা হয়।’

তিনি বলেন, ‘পরে মিনহাকে হোসেনপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেন।’

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, কেমিক্যাল বার্নে রোগীনির মুখ এবং দুই হাত ঝলসে গেছে। তবে সেটা এসিড জাতীয় কিনা, তা পরীক্ষা করে বলা যাবে। বর্তমানে সে বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে।
এই ঘটনায় শনিবার পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।