দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ বলছেন, নর্থ রোডের ২৭-২৮১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটটির প্রকৃত মালিক পার্থ। সেখান থেকেই ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই টাকা ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করেছেন পার্থ।
দুদক কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, পার্থ দাবি করেছেন, ফ্ল্যাটটি তার শাশুড়ি তার মেয়েকে কিনে দিয়েছেন। তবে তার শ্যালিকা সেখানে বসবাস করেছেন— এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফ্ল্যাটটিতে পার্থ, তার স্ত্রী রতন মনি সাহা ও তাদের মেয়ে থাকেন। এ থেকে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে, ফ্ল্যাটের নামফলকে যার নামই থাকুক না কেন বা পার্থর দাবি যা-ই হোক না কেন, অন্যের নামে হলেও এর প্রকৃত মালিক পার্থই।
তিনি বলেন, পার্থর দাবি বিভ্রান্তিকর। একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন তিনি। বলেছেন, ফ্ল্যাটটির মালিক তার শাশুড়ি। তিনি নিজেই ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তার পরিবারের সদস্যদের জন্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্থর শাশুড়ির কোনও ছেলে নেই।
দুদক বলছে, ফ্ল্যাট বা পুরো ভবনের মালিক কে তা খতিয়ে দেখে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর পার্থই যে ফ্ল্যাটের প্রকৃত মালিক এবং সেখানেই যে তিনি ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা লাখ লাখ টাকা গচ্ছিত রেখেছেন, তা নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন...
কারা কর্মকর্তা পার্থ গ্রেফতার, বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার
‘ঘুষের টাকা পাশের বাসার ছাদে ফেলে দেন কারা কর্মকর্তা পার্থর স্ত্রী’