রেলওয়ের মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার সচিব, এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর) প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার (২৮ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষের শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
এর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন ও মাইক্রোবাস সংঘর্ষে বর-কনেসহ ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের প্রতেক্যের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে ওই দুর্ঘটনায় আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। গত ১৮ জুলাই মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। তবে রিটের শুনানি হলেও এখনই ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনও আদেশ দেননি হাইকোর্ট।
গত ১৭ জুলাই আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রেল মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশে রেলওয়ের মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) সচিব এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে গত ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চাওয়াসহ নতুন করে রেলের লেভেল ক্রসিং নির্মাণ, অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ, রেলের গেটম্যানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ট্রেনের ছাদে যাত্রী তোলা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়। তবে ওই নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা ট্রেনের সঙ্গে একটি বিয়ের মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ঘটে। ওই ঘটনায় বর-কনে ও শিশুসহ মোট ১১ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।
আরও পড়ুন:
‘উৎসবের বাড়িতে’ এখন শোকের মাতম
ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১
সেই বিয়ের মঞ্চেই ফিরলো সুমাইয়ার রক্তাক্ত মরদেহ
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে দিতে আইনি নোটিশ