ঢাবি উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত, যাচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী মেয়াদে নিয়োগের জন্য উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের এক বিশেষ অধিবেশনে এটি চূড়ান্ত হয়। তবে, বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা এ নির্বাচনে অংশ নেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাবি গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেটের ১০৫ জন সদস্যের মধ্যে ৯৩ জন সদস্য এই অধিবেশনে যোগদান করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেটের চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর আর্টিক্যাল ১১(১) ধারা অনুযায়ী মহামান্য চ্যান্সেলর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩ (তিন) জনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হয়।

প্যানেলে মনোনীতরা হলেন: বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিক্যাল ২১(২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সিনেটের এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেন।

ভোট বর্জনের বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ভিসি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছি। কারণ, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন করা তো সিনেটের মূল কাজ। গতবার যে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তিনটি প্যানেল ছিল। আওয়ামীপন্থী নীল দলের দুটি প্যানেল এবং বিএনপিপন্থী সাদা দল। কিন্তু নীল দলের একটি প্যানেল তারা বাদ দিয়েছিল, যা বাতিল করতে পারে না। এছাড়াও রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনেও সারাদেশে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে। এছাড়াও ডাকসু নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে তার জন্য উপাচার্য প্যানেলই দায়ী। উপাচার্য প্যানেল করতে গিয়ে যদি এসব অনিয়ম কাজ করে, তাহলে সে নির্বাচন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি।’