ঘুষের মামলায় নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা

যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় চার্জশিট অনুমোদন দেয়। চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে চেকের মাধ্যমে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি। দুদক জানায়, ২০০৮ সালের ১৮ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা করে দুদক। চার্জশিটে নাজমুল হুদার পরিচয় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সিগমা হুদার পরিচয় সাপ্তাহিক ‘খবরের অন্তরালে’ পত্রিকার স্বত্বাধিকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদক জানায়, ২০০৮ সালের ১৮ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেন তারা। বহুল আলোচিত এই মামলার বাদী হলেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন। বেলাল বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে আছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম।